বিভিন্ন পত্র পত্রিকার কল্যানে হ্যাকিং সম্পর্কিত নানা খবর দেখে দেখে নিশ্চয়ই অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। আর তা হবেন নাই বা কেন? সাইবার আক্রমণতো এখন প্রতিদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তো যখন বিভিন্ন খবর পড়েন তখন ব্ল্যাক, হোয়াইট এবং গ্রে হ্যাট হ্যাকার এই শব্দগুলোর সাথে নিশ্চয়ই আলাপ হয়েছে। আজকে আমরা দেখব ব্ল্যাক, হোয়াইট ও গ্রে হ্যাট হ্যাকার কি এবং কেন?
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারঃ
আপনি বিভিন্ন হলিউডি মুভিতে হয়ত এ ধরণের হ্যাকারদের দেখে থাকবেন। ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক হ্যাক করে নিজের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নানা ধরণের অপরাধ সংঘটিত করে। যেমন – ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড চুরি,ব্যক্তিগত তথ্যচুরি করে অন্য কোন গ্রুপের কাছে বিক্রি করা,বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়ে ওয়েবসাইট ডাউন করে দেয়া ইত্যাদি।
মূলত সাইবার ক্রিমিনাল বলতে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদেরই বোঝানো হয়। তারা যে নিজে শুধুমাত্র আক্রমণই করে তা কিন্তু নয়। বরং বিভিন্ন সিস্টেমের নানা খুঁত খুঁজে বের করে অন্যান্য ক্রিমিনাল গ্রুপের কাছে সেই তথ্যগুলো বিক্রিও করে দেয়। এক কথায় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার বলতে বোঝায় যারা হ্যাকিং করে শুধুমাত্র নিজে লাভবান ও অন্যের ক্ষতি করার জন্য।
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারঃ
হোয়াইট হ্যাক হ্যাকাররা হলো ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদের বিপরীত। তাদের আরেক নাম ‘ইথিক্যাল হ্যাকার’। এরা মূলত সিকিউরিটি এক্সপার্ট যাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সিস্টেমের দূর্বলতা খুঁজে বের করার জন্য নিয়োগ দেয়। ধরুন, একজন ইথিক্যাল হ্যাকারকে আপনি আপনার কোম্পানির সিস্টেমের নানা নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে বের করার দায়িত্ব দিলেন। এখন সে সিস্টেম হ্যাক করে আপনাকে ইনফর্ম করবে যে সিস্টেমের কোন কোন জায়গায় ত্রুটির কারণে সে হ্যাক করতে পারল এবং তা কিভাবে ঠিক করা যাবে। একজন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার যে পদ্ধতিতে আপনার সিস্টেম হ্যাক করতে পারত ঠিক সেইভাবেই একজন হোয়াইট হ্যাক হ্যাকার আপনার অনুমতি নিয়ে সিস্টেম আগেই হ্যাক করে এর ত্রুটি সংশোধনের পথ বাতলে দেয়। ফলে আপনার কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং সিস্টেম আক্রমণে ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে।
অর্থাৎ একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার অনুমতি সাপেক্ষে সিস্টেম হ্যাক করে ত্রুটি খুঁজে বের করে এবং এতে সে কোন প্রকার ক্ষতি করে না। এই কাজটি আরেকটি নাম হলো পেনেট্রেশন টেস্টিং।
গ্রে হ্যাট হ্যাকারঃ
ব্ল্যাক আর হোয়াইট তো হলো। কিন্তু আরেক ধরণের হ্যাকার আছে যাদেরকে গ্রে হ্যাট হ্যাকার বলা হয়। গ্রে হ্যাট হ্যাকাররা মূলত শখের বসেই এই হ্যাকিং এর কাজ করে থাকেন।
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার অনুমতি ছাড়াই কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করে তথ্য চুরি ও অন্যান্য নানা অপরাধ করে থাকে। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা সংশ্লিষ্ট সবার অনুমতি নিয়ে সিস্টেম হ্যাক করার মাধ্যমে ত্রুটি খুঁজে বের করে তা ঠিক করতে সাহায্য করে। আর গ্রে হ্যাট হ্যাকার অনুমতি ছাড়া কোন সিস্টেম হ্যাক করে থাকলেও সেটির মাধ্যেম কোন তথ্য চুরি করে না। বরং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম হ্যাক করার পরে এর সিকিউরিটি ঠিক করতে সময় দেয়। যদিও তাত্ত্বিক দিক দিয়ে হোয়াইট ও গ্রে হ্যাট হ্যাকারদের মধ্যে কোন অমিল নেই কিন্তু গ্রে হ্যাট হ্যাকাররা অনুমতি না নিয়েই সিস্টেম হ্যাক করে ফলে এটি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
কোন একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হয়ত ত্রুটি খুঁজে বের করে সেটা কোম্পানিকে জানায় দেয় কিন্তু এতে সাধারণ গ্রাহকরা হয়ত তা সম্পর্কে জানবে না। কিন্তু গ্রে হ্যাট হ্যাকিং এর ফলে হ্যাকাররা পাবলিকলি এই হ্যাক সম্পর্কে জানায় এবং সিস্টেম হ্যাক করার পর অবহিত করে তোমার কম্পিউটার সিস্টেম ঠিক করা উচিত। এতে ওই গ্রে হ্যাট হ্যাকার হয়ত কোন তথ্য চুরি করবে না। কিন্তু পাবলিকলি জানানোর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। হয়ত অন্য কোন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এসে ত্রুটি সারানোর আগেই আবার হ্যাক করে তথ্য চুরি করে ফেলতে পারে।
সূত্রঃ প্রিয় টেক and https://www.facebook.com/DevsTeamInstitute/posts/438619409583193
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারঃ
আপনি বিভিন্ন হলিউডি মুভিতে হয়ত এ ধরণের হ্যাকারদের দেখে থাকবেন। ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক হ্যাক করে নিজের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নানা ধরণের অপরাধ সংঘটিত করে। যেমন – ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড চুরি,ব্যক্তিগত তথ্যচুরি করে অন্য কোন গ্রুপের কাছে বিক্রি করা,বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়ে ওয়েবসাইট ডাউন করে দেয়া ইত্যাদি।
মূলত সাইবার ক্রিমিনাল বলতে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদেরই বোঝানো হয়। তারা যে নিজে শুধুমাত্র আক্রমণই করে তা কিন্তু নয়। বরং বিভিন্ন সিস্টেমের নানা খুঁত খুঁজে বের করে অন্যান্য ক্রিমিনাল গ্রুপের কাছে সেই তথ্যগুলো বিক্রিও করে দেয়। এক কথায় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার বলতে বোঝায় যারা হ্যাকিং করে শুধুমাত্র নিজে লাভবান ও অন্যের ক্ষতি করার জন্য।
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারঃ
হোয়াইট হ্যাক হ্যাকাররা হলো ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদের বিপরীত। তাদের আরেক নাম ‘ইথিক্যাল হ্যাকার’। এরা মূলত সিকিউরিটি এক্সপার্ট যাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সিস্টেমের দূর্বলতা খুঁজে বের করার জন্য নিয়োগ দেয়। ধরুন, একজন ইথিক্যাল হ্যাকারকে আপনি আপনার কোম্পানির সিস্টেমের নানা নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে বের করার দায়িত্ব দিলেন। এখন সে সিস্টেম হ্যাক করে আপনাকে ইনফর্ম করবে যে সিস্টেমের কোন কোন জায়গায় ত্রুটির কারণে সে হ্যাক করতে পারল এবং তা কিভাবে ঠিক করা যাবে। একজন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার যে পদ্ধতিতে আপনার সিস্টেম হ্যাক করতে পারত ঠিক সেইভাবেই একজন হোয়াইট হ্যাক হ্যাকার আপনার অনুমতি নিয়ে সিস্টেম আগেই হ্যাক করে এর ত্রুটি সংশোধনের পথ বাতলে দেয়। ফলে আপনার কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং সিস্টেম আক্রমণে ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে।
অর্থাৎ একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার অনুমতি সাপেক্ষে সিস্টেম হ্যাক করে ত্রুটি খুঁজে বের করে এবং এতে সে কোন প্রকার ক্ষতি করে না। এই কাজটি আরেকটি নাম হলো পেনেট্রেশন টেস্টিং।
গ্রে হ্যাট হ্যাকারঃ
ব্ল্যাক আর হোয়াইট তো হলো। কিন্তু আরেক ধরণের হ্যাকার আছে যাদেরকে গ্রে হ্যাট হ্যাকার বলা হয়। গ্রে হ্যাট হ্যাকাররা মূলত শখের বসেই এই হ্যাকিং এর কাজ করে থাকেন।
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার অনুমতি ছাড়াই কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করে তথ্য চুরি ও অন্যান্য নানা অপরাধ করে থাকে। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা সংশ্লিষ্ট সবার অনুমতি নিয়ে সিস্টেম হ্যাক করার মাধ্যমে ত্রুটি খুঁজে বের করে তা ঠিক করতে সাহায্য করে। আর গ্রে হ্যাট হ্যাকার অনুমতি ছাড়া কোন সিস্টেম হ্যাক করে থাকলেও সেটির মাধ্যেম কোন তথ্য চুরি করে না। বরং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম হ্যাক করার পরে এর সিকিউরিটি ঠিক করতে সময় দেয়। যদিও তাত্ত্বিক দিক দিয়ে হোয়াইট ও গ্রে হ্যাট হ্যাকারদের মধ্যে কোন অমিল নেই কিন্তু গ্রে হ্যাট হ্যাকাররা অনুমতি না নিয়েই সিস্টেম হ্যাক করে ফলে এটি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
কোন একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হয়ত ত্রুটি খুঁজে বের করে সেটা কোম্পানিকে জানায় দেয় কিন্তু এতে সাধারণ গ্রাহকরা হয়ত তা সম্পর্কে জানবে না। কিন্তু গ্রে হ্যাট হ্যাকিং এর ফলে হ্যাকাররা পাবলিকলি এই হ্যাক সম্পর্কে জানায় এবং সিস্টেম হ্যাক করার পর অবহিত করে তোমার কম্পিউটার সিস্টেম ঠিক করা উচিত। এতে ওই গ্রে হ্যাট হ্যাকার হয়ত কোন তথ্য চুরি করবে না। কিন্তু পাবলিকলি জানানোর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। হয়ত অন্য কোন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এসে ত্রুটি সারানোর আগেই আবার হ্যাক করে তথ্য চুরি করে ফেলতে পারে।
সূত্রঃ প্রিয় টেক and
No comments:
Post a Comment